ইবিতে আবর্জনা পোড়ানোর আগুনে পুড়েছে জীবিত গাছ

ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১০; আপডেট: ৫ মে ২০২৪ ১০:০৯

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবর্জনা পোড়ানোর জন্য দেওয়া আগুনে জীবিত গাছপালা পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনের পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় হলের সামনের রাস্তার পাশে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সারিতে লাগানো প্রায় ২০টি দেবদারু, কয়েকটি মেহগনি ও লেবু গাছসহ কয়েক প্রজাতির অন্তত ত্রিশটি গাছের পাতা ও বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এ ঘটনাকে হল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা ও দায়সারা দায়িত্বের ফল হিসেবে দেখছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে এ ঘটনাকে অনাকাক্সিক্ষত ও নিছক দূর্ঘটনা বলে দাবি করেছেন হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সত্য রায় আবর্জনার স্তুপে আগুন দিয়ে অন্যত্র চলে যান। পরে বাতাসে আগুন আবর্জনার স্তুপ থেকে আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে চারপাশের জীবিত গাছগুলোতে আগুন লেগে পাতা, বাকল ও ডালপালা পুড়ে যায়।

এছাড়া ওই জায়গায় জন্মানো সমস্ত ঘাস ও গুল্ম জাতীয় লতাপাতা পুড়ে গেছে। এদিকে ঘটনার পরদিনও হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। পরে বিষয়টি তাদেরকে অবগত করলে তারা দ্রুত পুড়ে যাওয়া গাছপালা পরিষ্কার করে ফেলে।

এ বিষয়ে হলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সত্য রায় বলেন, আমি ময়লার স্তুপে আগুন দিয়ে অন্য কাজে চলে গেছিলাম। এটা আমার ভুলের জন্য হয়েছে। পরবর্তীতে যাতে আর এমন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবো।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনাটি জানার পরপরই প্রতিটি গাছে পানি দিতে বলেছি। টানা তিনদিন গাছের গোঁড়ায় পানি দেওয়ার পর যদি গাছগুলোকে বাঁচানো সম্ভব না হয় তাহলে একই জায়গায় নতুন করে গাছ লাগাবো।

এদিকে গাছ পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশাসনের কাছে যত্রতত্র আবর্জনা না পুড়িয়ে নির্দিষ্টস্থানে আবর্জনা পোড়ানোসহ বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায় বলেন, যত্রতত্র আগুনে আবর্জনা পোড়ানো পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাছাড়া যেসব গাছের ডালপালা, বাকল ও পাতা ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেসব গাছ খাদ্য তৈরি করতে পারে না। মাটির উপরের অংশে ঘাস না থাকলে মাটির আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানে আর কোনো উদ্ভিদ জন্মায় না।

এটির বিকল্প হিসেবে একটা সমন্বিত ব্যবস্থা করা যায়। এছাড়া অর্গানিক ও নন-অর্গনিক বর্জ্যগুলো ভাগ করে খুব সহজেই বায়োগ্যাস প্লান্ট কিংবা কম্পোস্টিং সিস্টেম করা যায়।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top