শ্রুতিলেখকের সহায়তায় রাবি ভর্তি পরীক্ষা দিলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুবর্ণা

কে এ এম সাকিব | প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৪৫; আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২৭

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুবর্ণা

মায়ের হাত ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন রাজবাড়ীর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুবর্ণা রানী দাস। আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) শ্রুতিলেখকের সহায়তায় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন সুবর্ণা। তবে রাবি ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সব নিয়ম মেনে শ্রুতিলেখক খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হয়েছে মা-মেয়েকে। 

সুবর্ণার মা কনিকা রানী দাস বলেন, আমার মেয়ে জন্ম থেকেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। জন্মের দুই বছরের মাথায় বাবাকে হারায়। পরিবারে তিনজন সদস্য, উপার্জনক্ষম তেমন কেউ নাই। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ আর একান্ত প্রচেষ্টায় এই পর্যন্ত আসতে পেরেছে মেয়েটা। ওর জন্য পরিবারের সবাইকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সবার সহযোগিতা না পেলে সম্ভব হতো না। মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হোক, ভালো থাকুক সব সময় সেটাই আমার চাওয়া। 

 

তিনি আরো বলেন, প্রথমে মনে করেছিলাম মেয়ে শ্রুতিলেখকের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়ম মেনে শ্রুতিলেখক পাওয়া খুব কঠিন ছিলো আমাদের জন্য। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হোক। যাতে আমার মেয়ের মতো যারা পরবর্তীতে পরীক্ষা দেবে তাদের কষ্ট না করতে হয়। সব্বোর্চ দশম শ্রেণি নয়, একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শ্রুতিলেখক নেয়ার নিয়ম করা হোক।

সুবর্ণা বলেন, পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। প্রশ্ন তুলনামূলকভাবে সহজ হয়েছিল।

শিক্ষাজীবন সম্পর্কে সুবর্ণা বলেন, ২০১৮ সালে রাজবাড়ী ইয়াসিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক (এসএসসি) পাশ করি। পরবর্তীতে ভর্তি হই রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ কলেজে। সেখান থেকে ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) শেষ করি। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি।

সুবর্ণা আরো বলেন, এখন জীবনের একমাত্র চ্যালেঞ্জ ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়া। দেশের যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করতে চাই। এরপর বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের একজন বড় কর্মকর্তা হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top