অবশেষে প্রেমিককে স্বামী হিসেবে পেল কিশোরী বধূ নাজনিন

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২১ ১৪:২২; আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:১৬

চেয়ারম্যান ও নাজনিন - ছবি : সংগৃহীত

বাউফলে অষ্টম শ্রেণীর সেই শিক্ষার্থী নাজনিন আক্তার (১৪) বিয়ের এক দিন পরই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করেছে। গতকাল সকালে প্রেমিক রমজানের মামা বাড়িতে বসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় নাজনিন। বর্তমানে কুম্ভখালী গ্রামের মামাশ্বশুর বাড়িতেই আছে নাজনিন।

এদিকে চেয়ারম্যানকে তালাক দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিচারপ্রার্থী কিশোরীকে বিয়ে করে চেয়ারম্যান বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক ও পারিবারিক চাপসহ আইনি জটিলতা এড়াতে চেয়ারম্যান কৌশলে কিশোরীর কাছ থেকে তালাকনামা রেখেছেন। অবশ্য কিশোরী নাজনিন বলেছে, গতকাল ভোরে তার প্রেমিক রমজানের সাথে বিয়ে হয়েছে। এখন সে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের রমজান নামের এক যুবকের সাথে চুনারপুল এলাকার নজরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে নাজনিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক। নাজনিনের বাবা ওই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তিনি বিয়ষটি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের কাছে অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ওই এলাকার চুনারপুল বাজারে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানে রমজান ও নাজনিনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সালিশ বৈঠকে নাজনিনকে দেখে চেয়ারম্যান শাহিন নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দেন। নাজনিনের বাবা সম্মতি দেয়ায় জুমার নামাজের পর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।

শাহিন হাওলাদারের ৬০ বছর বয়সে ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরীকে বিয়ের ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। শাহিন হাওলাদার ২১ জুন অনুষ্ঠিত কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ দিকে প্রেমিকাকে হারিয়ে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রেমিক রমজান বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় পটুয়াখালীর বাউফলে দুই কিশোর-কিশোরীর সালিস করতে গিয়ে পছন্দ হওয়ায় কিশোরীকে চেয়ারম্যানের নিজেই বিয়ে করার ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পটুয়াখালীর ডিসি, জেলা নিবন্ধক ও পিবিআইকে তদন্ত করে আলাদা তিনটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর রুলসহ এ আদেশ দেন। পরবর্তী আদেশের জন্য ৮ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

একই সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার করায় তার বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন আদালত এবং ওই কিশোরীকে নিরাপত্তা দিতে এসপিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top