রাবিতে প্রথমবারের মত বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ মে ২০২১ ০২:৫১; আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৬
৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব ১ম বারের মতো আয়োজন করেছে এই দিবসটি। বিশ্বে যে বংশগত রোগ নিয়ে শিশুজন্মের হার বাড়ছে তার মধ্যে থ্যালাসেমিয়া অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৮ই মে দিনটিকে 'বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছে, এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘সারা বিশ্বের থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার অর্জনে বাধা দূরীকরণ’। একে সামনে রেখে রাবি সায়েন্স ক্লাব "বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন" এর সহযোগিতায় "Thalassemia- A silent but ignored epidemic in Bangladesh" শিরোনামে ভারচুয়াল প্লাটফরম জুম আ্যপ এর মাধ্যমে সেমিনারটির আয়োজন করেছে।
সেমিনারে আলোচনা করেন স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর সহযোগী অধ্যাপক গবেষক মোঃ সারোয়ার হোসাইন। তিনি বলেন,"এটি রক্তের লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন অংশের একটি অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ। ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জীন হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন অংশে ত্রুটি সৃষ্টি করে। ফলে লোহিত রক্তকণিকার আয়ু স্বাভাবিক ১২০ দিন থেকে কমে মাত্র ২০-৬০ দিনে নেমে আসে। ফলে মারাত্মক রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। যার ফলে এই রোগে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন না করলে তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না। তাই প্রতিমাসে মাসে এক বা একাধিকবার রক্ত দিতে হয়। বাবা-মা দুজনই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, তাহলে শিশুর থ্যালাসেমিয়া নিয়ে ভূমিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ২৫%, বাহক শিশু জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা ৫০% আর সুস্থ শিশু জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা ২৫%।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন এর ভাইস চেয়ারপার্সন প্রফেসর মাসুমা রহমান। তিনি বলেন, "আমরা এখন পর্যনত জানতে পারি নাই বাংলাদেশে কত জন থ্যালাসেমিয়া রোগী আছে। আপনাদের মধ্যে যদি কারো একজনের থ্যালাসেমিয়া থাকে সেই শুধু জানে এর ভয়াবহতা। থ্যালাসেমিয়া এমন একটা রোগ যেটা আপনার সাথে কবর পর্যন্ত যাবে। তারমানে প্রতি মাসেই আপনাকে রক্ত দিতে হবে ঔষুধ থেতে হবে।
সর্বশেষে তিনি রাবি সায়েন্স ক্লাবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য এবং তাকে আমন্ত্রন জানানোর জন্য।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টামন্ডলী , স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ ও বর্তমান কমিটির সদস্য, অর্গানাইজার ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ এর ও অধিক শিক্ষার্থী। । অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাকালিন সহ সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য অলোক কুমার পাল।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন রাবি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মো. ইশতেহার আলী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবিদ হাসান ।
ক্লাবের সভাপতি ইশতেহার আলী বলেন, "রাবি সায়েন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নতুন নতুন প্রোগ্রাম উপহার দিয়ে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিতায় প্রথম বারের মতো থ্যালাসেমিয়া নিয়ে এই আয়োজন সাধারণ মানুষের মাঝে এই জিন ঘটিত রোগ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে আশা কিরা যায়। তিনি বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন কে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এসকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: