দেশ ধ্বংসের জন্য মাদক ঢুকিয়ে দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৩ ০২:৩৬; আপডেট: ৯ জুলাই ২০২৩ ০২:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দাদার আমল থেকেই দেশে মাদক ছিল। সে সময় আফিম, গাঁজা খেয়ে মাদকসেবীরা চোখ লাল করে বসে থাকত। এরপরে দেশে হেরোইন আসে, হেরোইনের পর এসেছে ইয়াবা।

এরপর এলএসডি ও আইস এসেছে। এসব ভয়ংকর মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয়নি। এসব মাদক এসেছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে। আমাদের সম্ভাবনাময় দেশকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য তারা এসব মাদক আমাদের দেশে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে।

আজ শনিবার (৮ জুলাই) মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলমপুরে আহসানিয়া মিশনের একটি বিশেষায়িত মাদকাসক্তি ও মানসিক হাসপাতালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিধি ছোট ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি এখন বিস্তৃত হয়েছে। প্রতিটি জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করেছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ৬৫ ভাগ যা পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যুব সমাজ রয়েছে। আমাদেরকে কেউ আটকাতে পারবে না। যদি আমাদের যুব সমাজ মাদকের এই ভয়ংকর ছোবলে আটকে যায়, তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ হারানোর সম্ভাবনা থেকে যাবে।

যারা মাদক থেকে ফিরে এসেছেন তাদের জন্য যেখানে যা প্রয়োজন তা সরকার করবে উল্লেখ্য মন্ত্রী বলেন, বর্ডারে আমাদের বিজিবি রয়েছে, পুলিশ, আনসার, র‍্যাব সবাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকতে বলেছেন। আমরা সেই জায়গায় থাকতে চাই। এজন্য যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত হোক, মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে ঐশির ঘটনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, মা-বাবার কাছে সন্তানরা অমূল্য সম্পদ। এজন্য সন্ধ্যায় তারা বাড়িতে থাকে কিনা এটি লক্ষ রাখতে হবে।

আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল এবং পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top