ভোটের খাতা শূণ্য; ২ চেয়ারম্যানসহ ৫ প্রার্থীর!
ডেস্ক নিউজ | প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩৬; আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩৬

ফাইল ছবি
রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঘা উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো ভোট পাননি ২ চেয়ারম্যানসহ ৫ জন প্রার্থী।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রোকনুজ্জামানের ঘোষিত ফলাফলে জানা গেছে, কোনো ভোট পাননি চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী আফজাল হোসেন (আনারস) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল (তালগাছ)। এদিকে সংরক্ষিত আসনে ময়না খাতুন (মই) কোনো ভোট পাননি।
অপরদিকে সাধারণ সদস্য পদে চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম (টিউবওয়েল) ও বাঘা পৌর জিয়া পরিষদের সভাপতি শাহিন মণ্ডল (হাতি) কোনো ভোট পাননি। এই ওয়ার্ডে ৭২ ভোট পেয়ে সাধারণ সদস্য পদে তালা মার্কা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মহিদুল ইসলাম।
৪৩ ভোট পেয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মতিন মতি (উটপাখি)। আরেক প্রার্থী বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব উদ্দিন (বৈদ্যুতিক ফ্যান) পেয়েছেন ৫ ভোট। বাঘা উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রে সংরক্ষিত আসনে জয়জয়ন্তী সরকার মালতি (হরিণ) পেয়েছেন ৭০ ভোট, মর্জিনা বেগম (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ৬ ভোট, সাজেদা বেগম (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ৩৯ ভোট, ফারজানা ইয়াসমিন (ফুটবল) পেয়েছেন ২ ভোট, মুনজুরা বেগম (মাইক) পেয়েছে ৩ ভোট। এদিকে চেয়ারম্যান পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল (কাপ পিরিচ) পেয়েছেন ৭১ ভোট, আখতারুজ্জামান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪৯ ভোট। উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ২টি ইউনিয়নে মোট ভোটর সংখ্যা ১২০ জন। সব ভোটার উপস্থিত ছিলেন। এ উপজেলা থেকে একটি সাধারণ সদস্য পদের জন্য ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুজিবুল আলম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পুলিশ, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে, র্যা ব ও বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সের মোবাইল টিম কাজ করেছে। এ বিষয়ে সাধারণ সদস্য পদে কোনো ভোট না পাওয়া প্রার্থী চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, আমি প্রার্থী হয়েছিলাম কিন্তু আমি কোনো টাকা খরচ করতে পারিনি। কোনো ভোটারকে টাকা দিতে না পারায় আমাকে কেউ ভোট দেয়নি। টাকা খরচ করতে পারলে হয়তো ভোট কিছু পেতাম। উল্লেখ্য, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৮৫ জন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা এ নির্বাচনে ভোট দেন।
সূত্র: যুগান্তর।।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: