চারঘটে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন, খুশি চাষীরা

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ০২:২৮; আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ০২:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী কৃষি অঞ্চলে এক দমকে ধানের জমিতে ব্যাপক পরিমান ফলের উৎপাদন বেড়েছে। লাভজনক অর্থকারী আবাদ হিসাবে ধানের পরির্বতে ফলের বাগান গড়ে তোলার প্রবণতা ছিল। এতে কমছে ধানের আবাদি জমি। তবে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী শক্তিতে এঅঞ্চলে ধানের জমি কিছুটা কমলেও উৎপাদন তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে। উপজেলার সরদহ ও নিমপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, শত শত হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। এবছর চারঘাটে হাইব্রিড ও উফসী জাত মিলিয়ে মোট ৪ হাজার ৯৫০ হেঃ জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। হাইব্রিড (১৮ হেঃ ও উফসী-৪ হাজার ৯৩২ হেঃ)। যা আগের বছরের তুলনায় বেশি গত বছর ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ চাষ হয়েছিল।

এজাতগুলো ব্রিধান-৯৫-১৩২ হেঃ, ৯৩-২৪৫ হেঃ, ৮৭-১ হাজার ৩৪৫ হেঃ, ৭৫-৭৫০ হেঃ, ৭১-২৯৮ হেক্টরসহ ব্রিহ্ইাব্রিড ধান-৪-৮ হেঃ, ৬-৮ হেক্টর জমিতে এই চাষ করা হয়। এই পর্যন্ত ৭৪৩ হেঃ জমির শস্য কর্তন হয়েছে। যার গড় ফলন ৫.৪২ মেঃ টন ধান ও ৩৫৮ মেঃ টন চাউলে।

কৃষি অফিসারের উপস্থিতিতে সরদহ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিকরা গ্রামের কৃষক তোয়াজ উদ্দিন তিন বিঘা ও নন্দনগাছি কৃষক আব্দুল কাদের প্রায় সাড়ে তিন বিঘায় জমিতে ব্রিধান ৯৫ ও ৮৭ নমুনা শস্য কর্তন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সরদহ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) রায়হান আলী, পৌরসভার (এসএএও) আমিরুল ইসলাম ও চারঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলামসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, সার, বীজ ও কীটনাশক দাম না বাড়লে চাষীরা আরও লাভবান হতো। তারপরও ধানরে ভালো দাম পাওয়ায় এতে কৃষকরা খুশি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, ৪ হাজার ৯৫০ হেঃ জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছে। কৃষকরা আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে এবার ফলন বেশি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে এবং তারা আগ্রহী হয়ে উঠেছে এ ফলনে।

#এনএ



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top