নগরীতে ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০২; আপডেট: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০৪

নগরীতে অর্পিত সম্পত্তি ইজারা নেয়ার পর স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

রাজশাহীর নগরীতে অর্পিত সম্পত্তি ইজারা নেয়ার পর সেখানে থাকা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ। চলতি বছরের শুরুতে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের নগরীর রাণীবাজার এলাকার ১৪ শতাংশ জমি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নেয়া হয়।

এই জমির একাংশে পুরনো একটি বাড়ি ছিল। ইতোমধ্যে চুন-সুরকি আর ইটের গাঁথুনি দিয়ে করা বাড়িটির অর্ধেক ভেঙে ফেলা হয়েছে। অপর দিকে এই বাড়িতে একজন নারী বাস করতেন। জেলা আওয়ামী লীগ জমিটি ইজারা নেয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে ওই নারীকে বিতাড়িত করা হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমিটি তাদের একসনা ইজারা (প্রতি বছর ইজারামূল্য পরিশোধের শর্তে) দেয়া হয়। ইজারা নেওয়া এই জমিতে স্থায়ী কোনো স্থাপনা করা যাবে না। তবে যে স্থাপনা আছে তা সংস্কার করে ব্যবহার করা যাবে। তবে এখন স্থাপনাটি সংস্কার না করে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, প্রাচীর দিয়ে ঘেরা জমিটির মূল ফটক বন্ধ করে ভেতরে স্থাপনা ভাঙার কাজ চলছে। চারজন শ্রমিক বাড়িটির দেয়ালগুলো ভাঙার কাজ করছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা নিয়ম মেনে জমিটি ইজারা নিয়েছি। ইজারা শর্তে আছে যে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা না গেলেও আমরা সেখানে একতলা টিনশেড ভবন করতে পারব। আগে থেকে যে বাড়িটি ছিল সেটি অনেক পুরনো, ভেতরে ঢোকা যায় না। তাই সেটি ভেঙে একতলা টিনশেড করা হবে। ইজারা নেওয়া অর্পিত সম্পত্তিতে স্থাপনা করতেও জেলা প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, আমরা যখন ইজারা নিয়েছি, তখনই তো অনুমতি হয়ে গেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আনিসুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, অর্পিত সম্পত্তি ইজারা নিয়ে সেখানকার স্থাপনা ভেঙে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর ইজারা নেওয়া অর্পিত সম্পত্তিতেও নতুন কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। আমি যোগদানের পর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আবেদন পাইনি।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top