নাটোরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর: তিন আ’লীগ নেতা আটক

নাটোর প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২১ ২৩:০৬; আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৩০

ভাংচুর করা দলীয় অফিস
নাটোরে আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস ভাংচুর এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করায় পুলিশ স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ জেলা সহ-সভাপতিসহ তিন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। নাটক সাজিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে তারা নিজেরা এসব ছবি ভাংচুর করেছিল বলে জানা গেছে।
 
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাস্তান মোড় এলাকায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা হয়েছে বলে নাটোর থানায় খবর দেয়া হয়। তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দীন মিলন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইউনিয়নের সিংহারদহ দক্ষিণপাড়া এলাকার রিপন, আল আমিন ও ভূট্টোর নেতৃত্বে ১০/১২ জন তার প্রতিপক্ষ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী লোহার রড, পাইপ, হাসুয়া নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাস্তান মোড় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় মিলনকে না পেয়ে অফিসে বসে থাকা যুবলীগ কর্মী হিমেলকে বেধড়ক মারপিট করে। ঘটনার সময় অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া মিলনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ড্রয়ার ভেঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। দলীয় অফিসে হামলা, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতা কর্মিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
 
অভিযুক্ত রিপন এবং আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের ছেলেরা ইট ভাটায় কাজ করে। এসব ভাংচুরের ঘটনা তারা ঘটাননি। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগ নেতা মিলন এবং তাঁর সহযোগিরা এ নাটক সাজিয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাকে বিষয়টি জানালে তিনি রাতেই নাটোর থানা পুলিশকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
 
তেবাড়িয়া ইইপ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী প্রধান জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে জেনেছেন আল আমিনেরা ইট ভাটার শ্রমিক। এরা ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়নি। এটা আল আমিনদের সাথে শত্রুতার কারণে পরিকল্পিতভাবে  মিলন এবং তার সহযোগীরা ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। 
নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনায় ইট ভাটা শ্রমিক আল আমিন ও মিলনদের সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের ফাঁসাতে মিলন, বাশার ও হিমেল অফিসের টেবিল চেয়ার উল্টে ফেলে এবং  ছবি ভাংচুর করে। পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে শুক্রবার রাত একটার দিকে অভিযান চালিয়ে তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব উদ্দীন মিলন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নাটোর জেলা শাখার সহ সভাপতি বাশারতুল্লাহ বাশার (৩৫) ও যুবলীগ কর্মী হিমেল(১৮) কে আটক করেছে।  
 
 
 
এসকে

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top