আড়ানী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হচ্ছেন কাত্তিক হালদার

কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সাময়িক ভাবে আড়ানী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হলেন কাত্তিক হালদার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় মঙ্গলবার (১৭-আগষ্ট) বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে সংখ্যাঘনিষ্ট ভোটে জয়যুক্ত হন তিনি।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা জানান, গত প্রায় এক মাস পূর্বে এক ব্যক্তিকে মারপিট, মাদক ও অস্ত্র মামলায় পুলিশ অভিযানে গ্রেফতাদের পর জেল হাজতে যান আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী। এর কিছুদিন পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের একটি পরিপত্রের মাধ্যমে তাঁকে অস্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হয়। ফলে মেয়র বিহীন চলছিল আড়ানী পৌরসভা।

তিনি আরো জানান, মেয়র মুক্তার আলী হাজতে যাবার পর দু’জন কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেন। এদের একজনের নাম রানা অপর জন কাত্তিক হালদার। ফলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাঁর কাছে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠির ভিত্তিতে তিনি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ১২ জন কাউন্সিলরকে তাঁর কার্যালয়ে ডাকেন। অত:পর সকল কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কাত্তিক হালদার বিজয়ী হন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার সচিব সাইফুল ইসলাম ।

তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে যে ভোট অনুষ্ঠিত হলো এর ফলাফল সহ একটি চিটি প্রেরণ করা হবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে। এরপর সেটি চূড়ান্ত হলে নতুন করে পৌর সভার কার্যক্রম চালু হবে।

এদিকে কাউন্সিলরদের প্রাপ্ত ভোটে সাময়িক ভাবে নির্বাচিত ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাত্তিক হালদার বলেন, আমি আমার সততার কারনে জনগণের ভোটে পর-পর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেলে জনগণের পাশে থেকে পৌরবাসীদের সেবা করে যাবো।

তিনি বলেন ,গত একমাস পূর্বে মেয়র মুক্তার আলী কারাগারে যান। এরপর থেকে কোন কাউন্সিলর বেতন ভাতা পায়নি।এ ছাড়াও নাগরিক সনদ প্রদান, করোনাকালীন সময় দুস্থদের জন্য অর্থ উত্তোলন, সরকারি জিয়ার ফান্ডের অর্থ এবং নতুন কোন প্রকল্প গ্রহণ সহ ঠিকাদারদের বিল প্রদান করাও সম্ভব হয়নি। ফলে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে পৌরবাসী। আমি দায়িত্ব পেলে সর্ব প্রথম এ সকল সমস্যা দুর করতে চায়।