আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাওয়ার হিটিং সমস্যার মূল্য দিয়েছে বাংলাদেশ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:২১; আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৪

ছবি : সংগৃহীত

সঠিক পাওয়ার হিটারের ঘাটতির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরো একবার ডেথ ওভারের সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। যে কারণে মঙ্গলবার এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫ থেকে ২০ রান কম করতে পেরেছে টাইগাররা।

আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৫ থেকে ২০ রানের পার্থক্যের কারণে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বার বার ব্যর্থ হওয়ার নেপথ্যে কারণ হিসেবে বার বার আলোচনায় উঠে আসেছে পাওয়ার হিটার ও পাওয়ার হিটিং সমস্যা।

যেহেতু পাওয়ার হিটিং নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল, তাই এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ দলের প্রশিক্ষন সূচিতে প্রতিদিন পাওয়ার হিটিং অন্তর্ভুক্ত ছিল। খেলোয়াড়রা অনুশীলনের কারণে ম্যাচে তারা এটিকে বাস্তবায়নের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পারেনি।

ধীরগতির উইকেটে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। পিচের অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা যায় ১৫০ রান করতে পারলেই জয় পেতে পারতো টাইগাররা। সেই লক্ষ্যের দিকেই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত পারেনি। শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৪০ রান সংগ্রহ করেছে দলটি। তন্মধ্যে শেষ দুই ওভারে রান সংগ্রহের গতি ছিল আরো কম। সেখানে তারা মাত্র ১৬ রান তুলতে পেরেছে, যেটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কখনোই আদর্শ হতে পারে না।

ধীরগতির উইকেটে আফগানিস্তানের শুরুটাও ছিল ধীরগতিতে। এমনকি তাদের রান তোলার যে ধারা ছিল তাতে প্রথম ১০ ওভারে পিছিয়ে ছিল বাংলদেশের চেয়ে। তবে তারা যেটি করেছে, সেটি হলো উইকেট ধরে রাখা। বাংলাদেশী ব্যাটারদের মতো তারা কখনো ছন্নছাড়া শট খেলেনি। ফলশ্রুতিতে তারা নির্বিঘেœ জয়লাভ করতে সক্ষম হয়।

আফগানিস্তানের হয়ে নজিবুল্লাহ জাদরান মাত্র ১৭ বলে অপরাজিত ৪৩ রান সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় জয়কে ত্বরান্বিত করেন। তিনি একটি চার ও একটি ছয়ের মার মারেন। অপরপ্রান্তে থাকা ইব্রাহিম জাদরান ৪১ বলে সংগ্রহ করেন অপরাজিত ৪২ রান। তিনি ধীরগতির ব্যাট চালানোর কারণ, অপরপ্রান্তের ব্যাটারের আগ্রসী রূপ। অপর প্রান্তের ব্যাটারকে নির্বিঘেœ ব্যাট করার সুবিধা দেয়ার জন্য নিজের প্রান্তটিকে অক্ষত রেখেছিলেন তিনি।

এটিকেই ম্যাচে দুই দলের পার্থক্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গতকাল ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক বলেন,‘ শুরুতে ৭/৮ ওভারে চার উইকেটের পতন হলে ম্যাচ বের করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা ১৪/১৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিলাম। আফগানিস্তান এ ক্ষেত্রে কৃতিত্ব পেতেই পারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিয়ম হচ্ছে- যে ক্রিকেটার একবার দাঁড়িয়ে যেতে পারবে তাকে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে।’

তিনি বলেন,‘ মোসাদ্দেক ভালো খেলেছেন। কিন্তু আমাদের আরো বেশী সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল। আমরা জানি নজিবুল্লহ খুবই বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান। শেষ ৬ ওভারে তাদের যখন জয়ের জন্য কম বেশি ৬০ রাে নপ্রয়োজন ছিল তখন আমরা ভেবেছি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছি। কিন্তু নাজিবুল্লাহ ম্যাচটিকে আমাদের নাগালের বাইরে নিয়ে যান।’

এদিকে নিজেদের কাজকে সহজ করে দেয়ার কৃতিত্ব স্পিনার মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানকে দিয়েছেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। দুই জনই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে ধ্বসিয়ে দেয়ার জন্য মুজিবকে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত করা হয়।

নবী বলেন,‘ সবাই জানে মুজিব ও রশিদ বিশ্বমানের বোলার। তারা আবারো নিজেদের মেধা ও দক্ষতার প্রমান দিয়েছেন। আমাদের পরিকল্পনা ছিল শুরুতে উইকেট তুলে নেয়া। সবাই এটিও জানেন যে আমাদের দলে পাওয়ার হিটারও আছে। আমরা আসলেই ভালোভাবে ম্যাচটি শেষ করেছি। গুরবাজও যথেষ্ঠ চেস্টা করেছেন। তবে ভালোভাবে বলে আঘাত করতে পারেননি। সাকিব দারুনভাবে তাকে বোল্ড করেছেন।’



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top