রাজশাহীতে টিকেট নিয়ে শ্রমীক নেতার হুমকি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২ ০৫:৪৯; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:১৪

ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে কালোবাজারির টিকেট না পেয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ‘অশ্লীল’ ভাষায় গালাগাল করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এক কর্মচারি। এসময় রেলওয়ের সাবেক এক কর্মকর্তাকেও চরম উত্তেজিত হয়ে স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিকেট না পেয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে অশ্লীল গালাগালের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

অশ্লীল ভাষায় গালাগালকারী রেলওয়ের ওই কর্মচারির নাম বেদব্রত সিনহা। সে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আর তার সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারসহ কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে হুমকি প্রদানকারীর নাম ওয়ালী খান। তিনি রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়েলফেয়ার ইন্সপেক্টর।

এদিকে ট্রেনের টিকেট না পেয়ে দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে রেলের সাবেক ও বর্তমান এই দুই কর্মচারির হুমকি-ধমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার ঘটনায় রেলওয়ে জিআরপি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী আব্দুল মোমিন ওই দুইজনের বিরুদ্ধে এই জিডি করেন।

অভিযোগ উঠেছে, নেশাগ্রস্ত’ অবস্থায় গত রবিবার রাতে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে যায় রেলের কর্মচারি দেবব্রত সিনহা। তার সঙ্গে মহানগর শ্রমিক লীগ নেতা ও সাবেক রেল কর্মকর্তা ওয়ালী খানও যান। তারা গিয়েই কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে হইচই শুরু করেন। চাহিদামত টিকেট না পাওয়ায় তখন চরম উত্তেজিত হয়ে দেবব্রত সিনহা রেলের দুই কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে ‘অশ্লীল’ ভাষায় গালাগাল করেন। এসময় ওয়ালী খান টিকেট না পেয়ে জিএমকে উদ্দেশ্য করে হুমকি-ধমকি দেন এবং স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী আব্দুল মোমিনকে তৎক্ষণাৎ স্টেশন মাস্টারের কক্ষে ডেকে নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী আব্দুল মোমিন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেবব্রত সিনহা রেলের একজন কর্মচারি। কিন্তু তার অত্যাচারে আমরা বুকিং সহকারী অতিষ্ঠ। সাধারণত বুকিং সহকারীদের ডিউটি না থাকলে টিকেট কাউন্টারের অভ্যন্তরে প্রবেশ নিষেধ। অথচ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরের উচ্চমান সহকারী দেবব্রত প্রতিনিয়ত টিকেটের জন্য কাউন্টারের অভ্যন্তরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে টিকেটের জন্য ধর্ণা দিয়ে আসছে। টিকেট না দেয়া পর্যন্ত কাউন্টারের কম্পিউটার ও সার্ভারের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে। প্রতিদিনের মত সে ১৬ জুলাই এসে ১৭ তারিখের যাত্রার টিকেটের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু ১৭ তারিখে জিএম স্যারসহ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় যান। যার কারণে তাকে আমি টিকেট দিতে পারিনি। এজন্য ১৭ জুলাই রাতে দেবব্রত তার কয়েকজন বাহিনী নিয়ে আমাকে খোঁজার জন্য জোরপূর্বক কাউন্টারে প্রবেশ করে কাউন্টার অফিস ঘেরাও করে। ওই দিন দুই দিনের টিকেট বিক্রির প্রায় ৬০-৭০ লাখ টাকা কাউন্টার অফিসে ছিলো। যেখানে অন্য কারও কাউন্টারের অভ্যন্তরে প্রবেশ নিষেধ সেখানে সে টিকেটের জন্য প্রতিনিয়ত জোরপূর্বক সেখানে ঢুকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ১৭ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আমাকে কাউন্টারের অভ্যন্তরে না পেয়ে কতর্ব্যরত স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে আমিসহ রেলের আরও দুই একজন কমকর্তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য-অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। জীবনের নিরাপত্তা ও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলওয়ে জিআরপি থানায় জিডি করেছি।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top