জামিলের হত্যাকারী রাজশাহী জামায়াতের আমির: বাদশা

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ১ জুন ২০২২ ০৪:১২; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ০৩:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, শহিদ জামিল আকতার রতনকে সবার আগে যে ব্যক্তি ছুড়িকাঘাত করেছিল তার নাম ডা. কেরামত আলী। তৎকালীন ছাত্র শিবিরের সভাপতি এই কেরামতের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে।

জামিলকে হত্যকারী এই ক্যাডার এখন রাজশাহী জামায়াতের আমির। কী করে হয় আমাদের দেশের পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার- তারাই বা কী করে আজকে আমাদের হতবাক হয়ে যেতে হয়!

মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে নিহত ডা. শহিদ জামিল আকতার রতনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে শহিদ জামিল ব্রিগেড এই সমাবেশের আয়োজন করে।

এর আগে শহিদ জামিলের সমাধিতে রাজশাহী জেলা ও মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি, যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী, নারী মুক্তি সংসদ, জামিল ফাউন্ডেশন, জামিল স্মৃতি সংসদ, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

সমাবেশে ঘাতক ক্যাডার কেরামত আলীকে গ্রেফতার করতে না পারলে রাজশাহীতে পুলিশের আর কোনো প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে এমপি বাদশা বলেন, জামিলের হত্যাকারী কেরামত আলী রাজশাহী জামায়াতের আমির হয়ে থাকবে আর পুলিশও থাকবে এটি হতে পারে না।

রাকসুর সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। তবে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানোর চক্রান্ত চলছে। যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করি আমাদেরই সেই চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। কিন্তু আমরা কী তা নিয়ে ভাবি? ভাবি না। রাজশাহীতে এখন মূল ব্যবসায়ীরা জামায়াত ইসলামের লোক। আমি তাদের নাম বলতে পারবো, কিন্তু বলতে চাই না। পুলিশ সেটি জানে, গোয়েন্দা বিভাগও জানে।

তাদের নিয়ে বড় বড় প্রোজেক্ট হচ্ছে। আমি বলতে চাই, সেই বড় বড় প্রকল্প তৈরি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কবর দেওয়ার জন্য। আমরা এই রাজনীতি মানতে পারি না, মানবো না। এই রাজনীতি রুখে দিতে হবে।

শহিদ জামিল ব্রিগেডের উপদেষ্টা ও জামিল ফাউন্ডেশনের সভাপতি কবি আরিফুল হক কুমারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কামারুল্লাহ কামা ও শহিদ জামিল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন।

সমাবেশে সঞ্চালনা করেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও শহিদ জামিল ব্রিগেডের প্রধান সমন্বয়ক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top