যেসব কারণে টি২০ বিশ্বকাপ ট্রফি যেতে পারে পাকিস্তানে

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২১ ০৯:২৩; আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:২৫

সংগৃহীত ছবি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে যেখানে ভাবাই হচ্ছিল না, সেই পাকিস্তানই এখন বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। বিশ্বকাপে নামার আগে কোচ বদল, একাধিক ক্রিকেটার বদল। এসব জর্জরিত করে দিয়েছিল বাবর আজমদের। কিন্তু এরই মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতসহ নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে নিজেদের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে প্রমাণ করেছে পাকিস্তান।

সুপার টুয়েলভে তিনটি ম্যাচ খেলে হ্যাটট্রিক জয়ের মাধ্যমে এখন পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে অবস্থান করে সেমিফাইনাল খেলা প্রায় নিশ্চিত করেছে। শুধু কি সেমিফাইনাল? না। বরং পাঁচটি কারণে বাবর আজমের দল এখন ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে। দেখে নেয়া যাক সেই পাঁচ কারণ-

১. ঘরের মাঠ : যে টি২০ বিশ্বকাপ ভারতের মাটিতে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে পাকিস্তানের ‘ঘরের’ মাঠ। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপরে আক্রমণ হওয়ার পর পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলতে শুরু করে পাকিস্তান। এর ফলে দুবাই, আবু ধাবির মাঠ পরিচিত পাকিস্তানের কাছে। ওই মাঠে টানা ১৩টি ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়ে পাকিস্তান।

২. রামিজ রাজার পদক্ষেপ : দলের ভেতরে সমস্যা হলেই আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপেও সেটা দেখা গিয়েছিল। এ বারের বিশ্বকাপের আগে কোচের দায়িত্ব ছাড়েন মিসবা উল হক। রামিজ রাজা সবে দায়িত্ব নিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। এসেই একাধিক বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। তবে তার নেয়া সিদ্ধান্তে ইতিবাচক ফল পাচ্ছে পাকিস্তান দল।

৩. অধিনায়ক বাবরের নেয়া সিদ্ধান্ত : নিজের দল বাছার সুযোগ পেয়েছেন বাবর। শেষ মুহূর্তে দলে নেয়া হয় শোয়েব মালিক, ফখর জামানদের। দু’জনকেই প্রথম একাদশে খেলতে দেখা গিয়েছে। মহম্মদ রিজওয়ানের সাথে বাবরের ওপেনিং জুটি সাফল্য পেয়েছে। বোলারদের সাফল্যও দলকে সাহায্য করেছে। বাবরের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো সাফল্য এনে দিয়েছে দলকে।

৪. অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে নেয়া : শোয়েব মালিকদের মতো অভিজ্ঞদের দলে নিয়ে আসা কাজ দিয়েছে পাকিস্তান দলের। ৩৯ বছরের শোয়েব মালিককে দলে নেয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু নিজেকে ফিট রেখেছেন শোয়েব। ব্যাট হাতে এখনো দলকে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রয়েছে তার।

৫. পাকিস্তান সুপার লিগ : বাবরদের সাফল্যের অন্যতম কারণ পাকিস্তান সুপার লিগ। ২০০৯ সালের পর থেকে আইপিএল-এ খেলতে পারে না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২০১০ সাল থেকে পাকিস্তান দলের সাফল্য কমতে থাকে। ২০১৫ সালে শুরু হয় পিএসএল। ভারত না খেললেও অন্যান্য দেশের তারকারা এই লিগে খেলেন। টি২০ ক্রিকেটের চাপ নিতে শিখে গিয়েছেন বাবররা। বিশ্বকাপের বাকি দলগুলোকেও চাপে ফেলার ক্ষমতা রাখে এই পাকিস্তান। ফলে ট্রফির জন্য স্বপ্ন দেখতেই পারেন বাবর আজমরা।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top