সরকারের পদত্যাগ দাবিতে রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধন

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনসংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে দেশের সকল রাজনৈতিক দল বলছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। আর একটি দল বলছে, আমাদের অধীনে নির্বাচন হবে।

এ দেশের মানুষ ২০১৮ সালে এই সরকারকে বিশ্বাস করেছিল। ২০১৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনের পর এই সরকার ওয়াদা করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হবে। কিন্তু এই সরকার দেশের সকল মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। দিনের ভোট রাতে করেছে। এই সরকারকে দেশের একটি মানুষও আর বিশ্বাস করে না। আমাদের আর বসে থাকার সময় নেই।

ফোরামের সাবেক সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মামুন-উর-রশিদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারকে নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দেখতে চায় না। কারণ, ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে রাতের ভোটে এই সরকার নির্বাচিত হয়েছে। সেখানে বিরোধী মতকে তারা দমন করেছে। তারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে, গুম করেছে। এই সরকারের বিরোধী মতের হাজার হাজার নেতা আজ জেলখানায়।

এই সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। সরকারের এই চেষ্টা আর সফল হতে দেব না আমরা।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কুদরত ই জাহান বলেন, আজ যেদিকে তাকাই সেদিকেই হাহাকার। আপনারা মানুষের কষ্টকে অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের যে মৌলিক চাহিদাগুলো রয়েছে, তার সবগুলোতেই ফেল করেছে এই সরকার। ১৫ বছরে অনেক তোল্পিতোল্পা গুটিয়েছেন।

এবার একটু ক্ষ্যান্ত দিন। দেশ ও জনগণের স্বার্থে সুষ্ঠ নির্বাচন দিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে তার মাধ্যমে একটা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দিন এবং দেশকে মুক্তি দিন। সাধারণ জনগণকে মুক্তি দিন।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাসুদুল হাসান খান মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল করিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পারভেজ আজহারুল হক প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক কামরুজ্জামান, সদস্য অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, সদস্য অধ্যাপক সোহেল হাসান, সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহেদ জামান। কর্মসূচিতে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক।