প্রশাসনের কাছে রাবি শিক্ষকের খোলা চিঠি

রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৫; আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫২

ছবি: সংগৃহীত

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আদিল হাসান চৌধুরী ১২ দফা প্রস্তাবনাসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি খোলা চিঠি লিখেছেন।

এতে তিনি লিখেছেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যে প্রথাগত সিট বরাদ্দ প্রক্রিয়া সেটা বরাবরই অযৌক্তিক মনে হয়। কলেজ পেরিয়ে আসা ছোট ছেলেমেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে, থাকতে হবে বাইরে বিভিন্ন মেসে অথবা হোস্টেলে। যাদের অধিকাংশই এই শহরে নতুন তাদের কাছে অনেকেরই প্রথম অভিজ্ঞতা হবে বাড়ির বাইরে থাকার।

বিশেষত মেয়েদের জন্য এটাতো অবশ্যই টেনশনের বিষয়। তারা সিট পাওয়া শুরু করবে দেড় দুই বছর পরে, যখন তাদের কাছে এই শহর মোটামুটি পরিচিতি পেয়ে যাবে। যখন তাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় এর আবাসিক হলে একটা সীট সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেই সময়টাতেই তারা সীট পাবেনা।

এতে তিনি ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন, প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থী প্রথম থেকেই নিজ নিজ হলের সিটে উঠবে। হলে সিট খালি থাকার উপর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে কয়জন এবার ভর্তি করব। এখানে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভিন্ন এক চিন্তা কাজ করবে, সেটা হল মেধা হীনতার ভিত্তিতে পরবর্তী বর্ষগুলোতে ছেলে মেয়েরা সিট হারাবে।

ন্যূনতম একটা জিপিএ নির্ধারণ করা থাকবে, তার চাইতে কম পেলে হলে সিটে থাকতে পারবেনা। শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণ একটা যোগ্যতা হিসেবে এর সাথে যুক্ত হতে পারে। বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীরা যারা হলে সিট হারাবে তারা এই শহরে বিভিন্ন মেসে বা হোস্টেলে সহজেই সিট ভাড়া করে থাকার সুযোগ পাবে। এক্সপেরিমেন্টালি কোন একটি নতুন হল দিয়ে বিষয়টা শুরু করা যেতে পারে।

এছাড়া যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা আছে একটু দূরে হলেও হল নির্মাণ করা যেতে পারে। এতে করে লোকালয় পরিধি বৃদ্ধি পাবে, তাতে সমস্যা নাই প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে ইন্টার্নাল বাস সার্ভিস চালু থাকবে এটাকে বলা হবে হল ট্রিপ। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের যেহেতু বাইরে আবাসন সংক্রান্ত খরচ হয় সেক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে সামান্য কিছু অর্থ নেয়া যেতে পারে ভবিষ্যতে হল নির্মাণ করা যাবে।

মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ করার পর কোন শিক্ষার্থীই যেন হলে সীট দখল করে না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আশু পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

এখন শুধু দুইটা বিষয় যোগ করব যে প্রত্যাশিত আউটপুট কি পাবো? হ্যাঁ, আবাসন এর নিশ্চয়তা পেলে প্রথম বর্ষের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিশেষত দরিদ্র শিক্ষার্থী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়ার পরেও রাবিতেই থেকে যাবে। সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সীট বরাদ্দ বাতিলের আতঙ্কে লেখাপড়ার তাগিদটা বাড়বে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top